
ফরিদপুর প্রতিনিধিঃ গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটায় পাবনার ফরিদপুর উপজেলার গোপালনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৪০ মন নকল দুধ ও দুধ তৈরির সরমজামাদি আটক করেছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সানাউল মোরশেদ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানাউল মোরশেদ বলেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি গোপালনগর গ্রামের সুফি গং নকল দুধ তৈরি করছে তার ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করতে এসে দুইজনকে হাতেনাতে দুধ তৈরীর সময় ধরে ফেলি। মূল ফটোকে শক্ত বাধা থাকায় প্রবেশ করতে দেরি হয় ওই সময় শফি ও তার লোকজন দ্রুত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। শফিকে নকল দুধ তৈরির অপরাধে গত ছয় মাসে দুইবার অভিযান পরিচালনা করে ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। কিন্তু দুই এক দিন বন্ধ থাকার পর সে আবার নকল দুধ তৈরি করতে থাকে এবং মিল্ক ভিটায় সরবরাহ করে। বাথরুমে মেশিন বসিয়ে নকল দুধ তৈরি করছিল। তার বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ দুধ তৈরীর সামগ্রী সয়াবিন তেল, কেমিক্যাল, ডালডা জব্দ করা হয়েছে। আটককৃত আরেক জানায়,প্রতিদিন সকালে চল্লিশ মণ দুধ তৈরি করা হয় এবং মিলভিটা সরবরাহ করি। মিল্ক ভিটার অসাধু কিছু কর্মচারীর সাথে জোক সাজে তারা দীর্ঘদিন ধরে নকল দুধ সরবর করে আসছে। এলাকাবাসী জানায়, নকল দুধ তৈরির সময় মেশিনে জরে শব্দ হয়। তাই উচ্চস্বরে ক্যাসেট বাজানো হয়। অভিযান পরিচালনার সময় ফরিদপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদের অফিসের ভেটেনারি সার্জন মোহাম্মদ আলহাজ্ব উদ্দিন বলেন, তৈরি করা দুধের ফ্যাটের পরিমাণ ১৩ কিন্তু স্বাভাবিক দুধের ফ্যাটের পরিমাণ তিন থেকে চার পর্যন্ত হতে পারে। যে সমস্ত কেমিক্যাল দিয়ে এ সমস্ত দুধ তৈরি করা হচ্ছে তা এক প্রকার বিষ।এগুলো খেয়ে মানুষের কিডনি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আটককৃতদের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বন্দ্ব বিধি ২০৯ এর ধারা ৫০ মোতাবেক সফির ভাই মোঃ তারেক তারেক (২৫) পিতা নূর মোহাম্মদকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগর ১ লক্ষ টাকা ও তার স্ত্রী মুন্নি খাতুনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আটককৃতদের পাবনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।