
আবুল কালাম আজাদ : এতদিন শুনে আসছি মাংসের তৈরি সিঙ্গাড়া চপ, পুড়ি । এখন মাংসের বদলে মাছ দিয়ে সিঙ্গাড়া, পুড়ি, রোল, চপ, পিঁয়াজু তৈরি করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম ও মেরিনা দম্পত্তি। একদিকে ছেলেমেয়েদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে অন্যদিকে মাছের প্রতিও আগ্রহ জন্মাচ্ছে। কমদামে মাছের তৈরি খাবার খেয়ে খুশি এলাকার শিশু কিশোর নারী পুরুষ ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। মাছের তৈরি এসব মুখরোচক ভাজাপুড়ি বিক্রি করে মাসে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় করছেন রফিকুল ইসলাম।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর বাজারের সলফ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক রফিকুল ইসলাম ও মেরিনা খাতুন দম্পতি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা পিকেএসএফ’র আর্থিক ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের কারিগরী সহযোগিতায় মাত্র ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তারা। মাংসের বদলে সস্তা দামে মাছের তৈরি বিভিন্ন প্রকারের ফিসচপ, ফিসসিঙ্গাড়া, ফিসপুড়ি, ফিসরোল, ফিসপিঁয়াজু তৈরি করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তার তৈরি কম দামে এসব ভাজাপুড়ি খেয়ে ক্রেতারাও সন্তুষ্ট। পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, সিলভারকাপ, চিংড়ি মাছ দিয়ে এসব সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়। প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরাই বেশি এই দোকানের কাস্টমার। দোকানে ঢুকেই তারা বলেন মাংসের তৈরি খাবার দেন। দুপুর গড়ালেই দোকানে ভীঁড় জমে যায়। প্রতিদিন তার দোকানে প্রায় ২০ হাজার টাকার এসব ভাজিপুড়ি বিক্রি হয়ে থাকে। ৬ জন কর্মচারী দিনরাত কাজ করেন তার দোকানে। খরচ খরচা বাদ দিয়ে তার প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে।
একদিকে পুষ্টির চাহিদা মিটছে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ মোটা অংকের টাকার লাভের মুখ দেখছেন তারা।
জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশনের মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পুষ্টির চাহিদা পূরণ, নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেই তাদের এই প্রয়াস। মানুষ কম দামে ভেজালমুক্ত সুস্বাদু খাবার পান এজন্য তারা ব্যবসায়ীকে ট্রেনিংয়েরও ব্যবস্থা করছেন।
রফিকুলের দেখাদেখি অনেকেই এধরনের হোটেল তৈরি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসীর ধারনা সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা বেকার যুবকদের এধরনের ব্যবসার উপর প্রশিক্ষণ দিলে তারা স্বাবলম্বী হতে পারবেন।