Oplus_131072
আবুল কালাম : পূণ্য তালনবমী তিথিতে শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৮তম আবির্ভাব তিথি ও ভাগীরথী পদ্মায় পুণ্য স্নান মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রবিবার প্রভাতে সমবেত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে পাবনার হিমাইতপুরে আশ্রম প্রাঙ্গনে দুই দিন ব্যাপী এই উৎসবের শুভ সূচনা হয়। মহোৎসব উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভক্তবৃন্দ সমবেত হয়েছেন।
এদিন সন্ধ্যায় ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া জেলার ট্রাস্টি এ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিৎ সাহা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে মহোৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। পরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পাবনা ইসলামীয়া মাদ্রাসা, দারুল আমান ট্রাস্টের অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন।
সৎসঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি শ্রী প্রাণশঙ্কর দাস (স.প্র.ঋ.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন সৎসঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী তাপস চন্দ্র বর্মন (স.প্র.ঋ.)।ধর্মসভা আলোচ্য বিষয় ছিল- ‘ইষ্ট-জীবন অনুকূলচেতনায়’।
ধর্মীয় আলোচ্য বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখবেন ঋত্বিক পরিষদ সচিব নিরঞ্জন দেবনাথ (স.প্র.ঋ), সদস্য অধ্যাপক মোহিত বিশ্বাস (স.প্র.ঋ), সুমন ঘোষ বাদসা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় সৎসঙ্গের প্রচার সম্পাদক হিরণময় ঘোষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই অনুকুল ঠাকুরের আশ্রম থেকে স্পষ্ট বলতে চাই মসজিদে যেমন আজান দেওয়া হবে, নামাজ হবে, তেমনি হিন্দুদের মন্দির উলুধ্বনি ধনী হবে এবং নিরাপদে পূজা পার্বণ করতে পারবে। একজন মানুষ যদি ভাল হয়, সে যদি তার ধর্ম ঠিক মতো পালন করে সেটা আমাদের দেশের জন্যই মঙ্গল। আমাদের দেশে সংখ্যালঘু আর সংখ্যা গুরু বলে কোন কথা নেই।
এর আগে দুপুরে যুবসম্মেলনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু, রাশেদুল রহমান রানা বিশ্বাস, ইঞ্জিনিয়ার শ্যামল ঘোষ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এদিকে সকাল থেকে ভক্তীমূলক সংগীত, রামায়নগানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা আয়োজকরা জানান, দুই দিন ব্যাপী মহোৎসবের অনুষ্ঠানমালায় থাকছে ধর্মসভার পাশাপাশি ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, তারকব্রহ্ম নাম সঙ্কীর্তন, সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীন নাম-ধ্যান, প্রভাতে এবং সন্ধ্যায় সমবেত প্রার্থনা, সদ্গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংগীত, শুভ অধিবাস, বিশ্বকল্যাণে বিশেষ প্রার্থনা, পুরুষোত্তমের শুভ সপ্তত্রিংশতী-উত্তর শততম জন্মলগ্নের স্মৃতিচারণ, (পুরুষোত্তমের দিব্য তনু স্মরণে ৮১ বার পুষ্পাঞ্জলি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শঙ্খধ্বনি, পুরুষোত্তম প্রণাম ও অর্ঘ্যাঞ্জলি নিবেদন, জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা ও মাতৃবন্দনা সহযোগে সৎসঙ্গ পতাকা উত্তোলন), শ্রীঅনুকূলনবমী তিথি (তালনবমী) যোগে পুন্যতোয়া ভাগীরথী পদ্মার তীর্থ-সলিলে স্নান-মহোৎসব, শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মস্থান প্রদক্ষিণ, ঋত্বিক পরিষদ সভা, যুব সম্মেলন, ঋত্বিক সম্মেলন, কিশোরমেলা, মাতৃসম্মেলন, কর্মীসম্মেলন, আন্দোবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ ও রাতে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।
শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র সৎসঙ্গের যুগ্ম সম্পাদক সৌমিত্র মজুমদার পলাশ জানান, অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ঠাকুরের ১৩৮ তম আবির্ভাব দিবস পালিত হচ্ছে। কোথায়ও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাননি। সবাই মিলেমিশে অনুষ্ঠানটি সফল করেছেন।
